আধুনিক প্রযুক্তিতে অগ্রগামী বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং আইটি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে ‘বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল–দক্ষিণ কোরিয়া’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ডেস্ক চালু করেছে সরকার।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে এই ভার্চুয়াল ডেস্কের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতা বাংলাদেশ ও কোরিয়ার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আকার ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করে, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

২০৪১ সালে দেশের জনগণকে স্মার্ট জাতি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে (এফডিআই) বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়া অবস্থান পঞ্চম ও আগামীতে আইটি খাতে তাদের বিনিয়োগ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সহায়ক হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে সরকার ইতোমধ্যে আইটি খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কে ও আইটি খাতে কোরিয়ার কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে মানুষকে কারিগরি ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলার কোনো বিকল্প নেই। কোরিয়া ও বাংলাদেশের যৌথভাবে দীর্ঘ মেয়াদে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি গ্রহণের ব্যাপারে প্রস্তাব করছি। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের কেওটিআরএ ও দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করছি।

দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশের মেধাবী তরুণদের নিয়োগদানের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশিরা সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের তাদের এ দেশে পরিচালিত কোম্পানি অথবা দেশে সরাসরি নিয়োগ দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম দেলওয়ার হোসেন, কোরিয়া ট্রেড-ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন এজেন্সির (কেওটিআরএ) মহাপরিচালক জং ওন কিম, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ ও উল্কাসেমির চীফ অপারেটিং অফিসার মিজান রহমান।